রাখী পূর্ণিমা শুভেচ্ছা

111

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

এবছর রাখি পূর্ণিমা নিয়ে কিছু মানুষ বেশ আশঙ্কায় আছেন। কবে রাখি পড়াবেন, তিরিশ নাকি একত্রিশ, এই নিয়ে অনেক রকম তথ্য বাতাসে ভাসছে, অনেকেই বলছেন তিরিশ তারিখ রাখি পড়ানো অশুভ। আসলে এই তথ্য আংশিক সত্য। কারন তিরিশ তারিখ পূর্ণিমা এবং ভদ্রকাল একসাথে শুরু হচ্ছে। এই ভদ্র কাল অশুভ বলেই ধরা হয়। কথিত আছে রাবনকে তার বোন সুর্পনাখা এই ভদ্র কালে রাখি পড়িয়ে ছিলেন এবং সেটাই ছিলো তার জীবনের শেষ রাখি। তবে তিরিশ তারিখ রাত নটার পর রাখি পড়াতে পারেন।

রাখী পূর্ণিমা একদিকে যেমন ধর্মীয় ও শাস্ত্রীয় উৎসব অন্যদিকে এই রাখীপূর্ণিমা আবার বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতিরা এক উজ্জ্বল উদাহরন কারন দেশ ভাগের সময়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ঠেকাতে  রাখীকে ব্যবহার করা হয়েছিল|

আজ সহজ কয়েকটি উপাচার আপনাদের জানিয়ে রাখী যেগুলি রাখীর দিন পালন করলে আপনারা অনেক বেশি সৌভাগ্যশালী হতে পারবেন ও ভাইয়ের মঙ্গল হবে চীরস্থায়ী|

রাখি পরানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ভাইয়ের মুখ যেন পূর্ব বা উত্তর দিকে থাকে।
রাখি পূর্ণিমার দিন রাখি পরানোর উদ্দেশ্যে যে রাখি আনা হয়, তা যেন অবশ্যই কিছু ক্ষণ বাড়ির ইষ্ট দেবতার চরণে রেখে তার পর ভাইয়ের হাতে বাঁধা হয়।

রাখি পরানোর সময় রাখির মঙ্গল থালায় জ্বলন্ত প্রদীপ, কুমকুম এবং চন্দন রাখতে হবে।
এই উৎসবে কোনও ভাবেই কালো কোনও জিনিস উপহার দিতে নেই।রাখি পরানোর সময় কোনও রকম নোনতা খাবার দিতে নেই। যতটা সম্ভব মিষ্টি খাবার দিতে হবে।

গৃহে রাধা কৃষ্ণ বিগ্রহ থাকলে তাদের রাখি অর্পণ করতে ভুলবেন না।ভালো হোক আপনাদের রাখীপূর্ণিমা সকলকে রাখী পূর্ণিমার অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here