শ্রী শ্রী মা এবং দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ

104

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

স্বামীজীর ভাষায় মা সারদা ছিলেন সাক্ষাৎ জগৎজননী। দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে সেই জগৎজননী কি করে নিষ্ক্রিয় থাকবেন।তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও সর্বদা বিপ্লবের আগুনে নিজের সর্বস্ব বিসর্জন দেয়া দামাল ছেলে গুলোর পাশে। ছিলেন।তাদের সহায় ছিলেন।

সিস্টার নিবেদিতা লেখা থেকে জানা যায় ‘সকল মহান জাতীয়তাবাদীই তাঁর অর্থাৎ শ্রীশ্রী মার চরণ স্পর্শ করে যেতেন। রামকৃষ্ণ স্মরনাগতদের মতে সারদামণি সেই সন্তানদের নিয়ে গর্ব করে বলতেন , ‘‘কী সাহস! এমন সাহস কেবল ঠাকুর আর নরেনই আনতে পারে। দোষ যদি কারও হয়, সে তো তাদেরই।’’সত্যি তাই সে যুগে বিপ্লবী মানেই পকেটে স্বামীজির বই আর কণ্ঠে বন্দে মাতারাম।

এক সময়ে  বাঘাতীনের মতো সশস্ত্র বিপ্লবের নেতাও মায়ের কাছে নিয়মিত আসতেন।
তাকে বিশেষ স্নেহ করলেও শ্রীশ্রী মা সশস্ত্র বিপ্লব সমর্থন করতেন না, বলেই মনে করা হয়।তবে আজীবন তিনি যতীন্দ্রনাথদের প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করে গিয়েছেন।

শোনা যায় বাইরের পুরুষদের সঙ্গে মা সরাসরি দেখা করতেন না। কথা বলতেন অন্যের মাধ্যমে। কিন্তু বাঘাযতীনের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই সেই নিয়ম শিথিল হয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী বড়ো অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে বাঘা যতীন মায়ের আশীর্বাদ নিয়েছিলেন|বাঘাযতীন সশস্ত্র সংগ্রামে যাচ্ছেন। সেখানে প্রাণহানির আশঙ্কা প্রবলজেনেও মা কিন্তু তাঁর সেই সন্তানকে নিরস্ত করেননি। পরবর্তীতে স্বশস্ত্র যুদ্ধে বীরের মতো শহীদ হন
বাঘা যতীন।

কিন্তু কেন বিপ্লবীরা ছুটে আসতেন সারদামণির কাছে তার কারন হিসেবে বিপ্লবী হেমচন্দ্র ঘোষ লিখেছেন, ‘ওই শান্ত সমাহিত নীরব জীবনের মধ্যেই রয়েছে অতিবিপ্লবের বীজ।

আজ স্বাধীনতা দিবসে সকল বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জানাই স্বশ্রদ্ধ প্রণাম এবং প্রণাম ও শ্রদ্ধার্ঘ্য জনাই মা সরদার চরণে।বন্দে মাতারাম।
জয় হিন্দ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here