শ্রাবন মাসের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব

111


জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত


দেবাদিদেব মহাদেব তার ভক্তদের উপর খুব অল্পেই প্রসন্ন হন। বলা হয় তিনি একটি বেলপাতা তেই তুষ্ট।সারাবছর শিবপুজো করা হলেও এই মাসে মহাদেবকে নিষ্ঠাভরে ও নিয়ম মেনে পুজো করা প্রচলন রয়েছে।কিন্তু কেনো?


শ্রাবন মাসেই মহাদেব সমুদ্র মন্থন থেকে ওঠা বিষ পান করে নীলকণ্ঠ হয়ে ছিলেন আবার এই শ্রাবন মাসেই শিব পার্বতীর শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়ে ছিলো।
জ্যোতিষ এবং বাস্তু শাস্ত্রতে শিবের গুরুত্ব অপরিসীম। যদিও তন্ত্র বলতেই আমরা সাধারণত দেবী পুজো বুঝি আসলে শিব ই কিন্তু তন্ত্র
শক্তির উৎস এবং আধার। তার মধ্যে রয়েছে অসীম এবং অন্তত শক্তি। তার কৃপায় দূর হতে পারে সব গ্রহগত সমস্যা।


তাই যারা শাস্ত্র মতে গ্রহের প্রতিকার চান বা যারা রুদ্রাক্ষ ধারণ করে অশুভ গ্রহ কে শান্ত করতে চান তারা উপযুক্ত জ্যোতিষ পরামর্শ নিয়ে শ্রাবন মাসের
সঠিক রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন। অদ্ভুত ফল পাবেন।
শাস্ত্রে আছে শাস্ত্রে বলা হয়েছে জলাভিষেক করলে পূজার সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয় এছাড়াও এই সময়ে লাল চন্দন, রুদ্রাক্ষ, অপরাজিতা
ধুতরার ফল, বেল পাতা, আকন্দ ফুল শিব লিঙ্গে অর্পণ করা যায়।


আবার নিয়মিত মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ এবং শিব পুরান পাঠ করলেও শিব কৃপা লাভ করা যায়।
দেবাদিদেব আপনাদের মনোস্কামনা পূর্ণ করুন।
ভালো থাকুন। হর হর মহাদেব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here