বিপদত্তারিনী পুজোর তাৎপর্য

149

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

সনাতন ধর্মে আদ্যা শক্তি মহামায়া নানা রূপে নানা তিথিতে পূজিতা হন তেমনই এক রূপ দেবী বিপদতারিণী। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া থেকে নবমী তিথিতে যে কোনও শনি বা মঙ্গল বারে এই ব্রত পালন করা হয়।আজ ২৪ জুন এবং শনিবার এবং ২৭ জুন, মঙ্গলবার পড়েছে বিপত্তারিণীর ব্রতর দিন

সাধারণত হিন্দুধর্মাবলম্বীরা  বিপদ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য এই দেবীর পুজো করেন।শুরু টা সেই পৌরাণিক যুগে হয়েছিলো যখন  দেবী পার্বতী রূদ্র রূপে ভয়ঙ্কর শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করে দেবতাদের বিপদ থেকে রক্ষা করেন। সেই রূপই বিপদত্তারিণী রূপ সেই থেকই বিপত্তারিণী মায়ের পুজো শুরু হয়।

যারা এই বিপদত্তারিণী ব্রত করেন তারা অনেকেই
১৩টি ফল, ১৩টি ফুল, ১৩টি সুপুরি ও ১৩ রকম নৈবেদ্য।হিসেবে মন্দিরে প্রদান করেন।

সাধারণত গ্রাম বাংলায় মহিলারা এই তিথিতে আলতা সিঁদুর পরে পুজো করেন। লাল সুতোয় তেরোটিটি গিট বেঁধে পুজো হয়। সেই ধাগা হাতে বাঁধা হয় মঙ্গল কামনায়। এদিন পরিবারের সকলেই নিরামিষ খেয়ে থাকেন এবং নিকটস্ত দেবী মন্দিরে গিয়ে ধুপ এবং পুজো জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন।

বর্তমানে অম্বুবাচি চলাকালীন স্বাভাবিক বিধিনিষেধ গুলি মেনে দেবীর কাছে প্রার্থনা করুন। ভালো থাকুন। জয় মা বিপদত্তারিণী।