ফল হারিণী অমাবস্যা কেনো এতো গুরুত্বপূর্ণ?

85

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

দীপান্বিতা অমাবস্যা কৌশিকী অমাবস্যা মৌনী অমাবস্যা এবং ফল হারিণী অমাবস্যা। এই চারটি
তিথির জন্য অপেক্ষা করেন জ্যোতিষ এবং তন্ত্র জগতের সাথে জড়িত অসংখ্য মানুষ। তার মধ্যে
ফল হারিণী অমাবস্যা একটু আলাদা একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারন কথিত আছে এইদিন স্বয়ং দেবী ভক্তের মনস্কামনা পূরণ করার জন্য ধরাধামে অবতীর্ণ হন।ভক্তি ভরে তাকে ডাকলে তিনি
ভক্তের খারাপ কর্ম ফল হরণ করে তাকে পুন্য প্রদান করেন এবং তার যাবতীয় দুঃখ কষ্ট দূর হয়।

ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ  স্বস্ত্রীক দক্ষিনেশ্বরে অবস্থান কালে মা সারদাকে ষোড়শীরূপে পুজো করেছিলেন।সেই তিথিতে দেবীর আসনে স্ত্রীকে বসিয়ে আরাধনা করেছিলেন তিনি।যা ছিলো নানা দিক দিয়ে এক ঐতিহাসিক এবং ব্যাতিক্রমী ঘটনা কারন তিনি নিজের স্ত্রীর মধ্যে আদ্যা শক্তি মহা মায়াকে খুঁজে পেয়ে ছিলেন।সেই তিথিকে স্মরন করে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরেও বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়।

শুধু দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দির নয়। দেশের প্রায় প্রত্যেক শক্তি পিঠে সিদ্ধ পিঠ কালী মন্দিরের আগামী ১৮ ই মে ২০২৩ ফল হারিণী অমাবস্যা উপলক্ষে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হবে।

তন্ত্র মতে প্রতিকার বা শাস্ত্র মতে গ্রহ শান্তি সব
দিক দিয়েই এই তিথি শ্রেষ্ঠ। কারন অশুভ গ্রহ আমাদের কষ্ট দেয়া কর্ম ফলের জন্য সেই কর্ম ফল থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই তিথিতে। আমি নিজেও অসংখ্য মানুষের কাজ নিয়ে এবছর ব্যাস্ত থাকবো ফল হারিণী অমাবস্যায়। আপনারাও এই তিথির গুরুত্ব অনুভব করুন এবং সদব্যবহার করুন।

ফিরে আসবো পরের পর্বে। এমনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে।
জয় মা তারা। জয় মা মুক্তে শ্বরী।ভালো থাকুন।