সামনেই দীপান্বিতা অমাবস্যা অর্থাৎ কালী পুজো, এই সময়ে শক্তির দেবী হিসেবে শ্যামা বা কালীমূর্তির আরাধনা করেন শাক্ত বাঙালিরা।
হিন্দু শাস্ত্রে বলা রয়েছে, তন্ত্র মতে যে সব দেব-দেবীদের পূজো করা হয়, তাঁদের মধ্যে কালী পুজো অন্যতম।
কালী শব্দটি কাল শব্দের স্ত্রীর রূপ, যার অর্থ হল কৃষ্ণ বর্ণ বা গুরু বর্ণ। বিভিন্ন পুরাণ থেকে থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহামায়া মা দুর্গার অন্য একটি রূপ হল কালী।
শাস্ত্রে দেবী কালীর যে রূপ বর্ণনা আমরা সেখানে তিনি চতুর্ভূজা অর্থাত্ তার চারটি হাতযুক্ত মূর্তি । খড়গ, অন্যটিতে অসুর মুণ্ড অন্য হাতগুলিতে তিনি বর এবং অভয় প্রদান করেন। গলায় নরমুণ্ডের মালা, প্রতিকৃতি ঘন কালো বর্ণের এবং রক্তবর্ণ জিভ মুখ থেকে বাইরের দিকে বেরিয়ে আছে । এছাড়াও তিনি এলোকেশি। মা কালীকে দেখা যায় শিবের বুকের উপর পা দিয়ে জিভ বার করে দাঁড়িয়ে আছেন।
নবদ্বীপের এক তান্ত্রিক যার নাম কৃষ্ণানন্দ তিনি বাংলায় প্রথম কালীমূর্তি বা প্রতিমা পূজার প্রচলন করেন। তার আগে মা কালীর উপাসকরা তাম্র পটে বা খোদাই করে কালীর মূর্তি এঁকে মা কালী সাধনা করতেন|
মা কালীর উত্পত্তির পৌরাণিক ব্যাখ্যা সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী মা কালীর আবির্ভাব সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায় তা হল পুরাকালে রক্ত বীজ নামক দৈত্য সারা পৃথিবী জুড়ে তাদের ভয়ঙ্কর ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল তাকে বধ করতে দেবী মহামায়া আবির্ভুতা হন দেবী কালী রূপে|
আগামী পর্বে ফিরে আসবো অন্য কোনো দেবতা বা দেবীর মহাত্ম নিয়ে আলোচনা নিয়ে|আসন্ন কালী পুজো উপলক্ষে যারা শাস্ত্র মতে গ্রহের প্রতিকার বা বিশেষ কোনো সমস্যার সমাধান চান তাদের মা মুক্তেশ্বরী মন্দিরের বিশেষ পুজোয় স্বাগত| উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগ করুন |ভালো থাকুন|নমস্কার|