জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত
বাস্তু আমাদের জীবন আমাদের সুখ শান্তি সমৃদ্ধি সবকিছুর সাথেই গভীর ভাবে সম্পর্ক যুক্ত। এই বাস্তু কিভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে কিভাবে বাস্তু দোষ থেকে মুক্ত থাকা যায় এবং কিভাবে বাস্তুর উপাদান অর্থাৎ জল বায়ু অগ্নি পৃথিবীকে কাজে লাগিয়ে সাফল্য এবং সমৃদ্ধি পাওয়া যায় তাই নিয়ে রচিত হয়েছে বাস্তু শাস্ত্র।
প্রাচীন ভারত বর্ষের অদ্ভুত সব স্থাপত্য নিদর্শন গুলি বিশেষ করে মন্দিরগুলি নিখুঁত বাস্তু শাস্ত্রের প্রয়োগের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন।
বাস্তুতে প্রধান দরজার গুরুত্ব অপরিসীম কারন
ইতিবাচক বা নেতিবাচক শক্তির প্রবেশ ঘটে এই প্রধান দরজা দিয়েই। বাড়ির প্রধান ফটক ঠিক করে দেয় বাড়ির ভেতরে কোন শক্তি প্রবেশ করবে।বাস্তু শাস্ত্রে প্রধান দরজা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে।
বাস্তু শাস্ত্র মতে সবচেয়ে ভাল দিকগুলি হল উত্তর, উত্তর-পূর্ব, পূর্ব বা পশ্চিম দিক। তবে বাড়ির স্থাপত্য এবং জমির অবস্থান বিচার করে এই
দিক গুলিকে প্রাধান্য দিতে হবে।পূর্ব দিক সূর্যের দিক তাই বাড়ির সদস্যদের মধ্যে উৎসাহ তথা এনার্জি বাড়ে কারন সূর্য মানেই তেজ এবং শক্তি।
উত্তর দিক কুবেরের দিক এই দিকে দরজা থাকলে অর্থ আসে।বাকি দিক গুলিও নানা ভাবে আমাদের জীবনে প্রভাব বিস্তার করে।
শুধু দিক নির্ণয় নয় বাস্তু অনুসারে প্রধান দরজার চারপাশের এলাকা পরিষ্কার পরিছন্ন হওয়া উচিত
প্রধান দরজার দুপাশে গাছ লাগানো শুভ। তবে ক্যাকটাস জাতীয় গাছে অশুভ। দরজার উপর পবিত্র ওঁম বা স্বস্তিক চিন্হ রাখা শুভ। দরজার ধাতু গৃহ কর্তার জন্ম ছক বিচার করে নির্বাচন কোরলে ভালো হয়।দরজার রং ও বাস্তু বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে নির্বাচন করা শ্রেয়।দরজার উপর ভাগ ত্রিভুজাকৃতি না করে অর্ধ চন্দ্রাকৃতি করা শুভ।
বিষয়টি যথেষ্ট বড়ো এবং অনেক তথ্য পরিবেশন করা যায় তাই আগেও এই বিষয় নিয়ে লিখেছি আবার আগামী দিনে লিখবো।জানাবেন বাস্তু নিয়ে এই ধারাবাহিক লেখনি কিরকম লাগছে।ভালো থাকুন। পড়তে থাকুন। নমস্কার।আগামী পর্বে।