অক্ষয় তৃতীয়া এমন এক তিথি তিথিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। কিন্তু কেনো এই তিথিকে এতো গুরুত্ব দেয়া হয় সেটাও জেনে নেয়া দরকার। আসলে কারন
একটি নয় অনেকগুলি আছে।
মহাভারতে উল্লেখ আছে এদিনই দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করেন ও লজ্জা থেকে সখী কৃষ্ণাকে রক্ষা করেন শ্রীকৃষ্ণ। বনবাসে থাকাকালীন অক্ষয় তৃতীয়াতেই শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে অক্ষয়পাত্র দান করেন। যাতে বনবাসে তাঁদের কখনও খাদ্যাভাব না হয় আবার অক্ষয় তৃতীয়ায় শ্রীকৃষ্ণের বন্ধু সুদামা তাঁকে অন্ন ভোগ দেন। তার পরিবর্তে কৃষ্ণ তাঁর এই প্রিয় বন্ধুকে সুখ ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ করেন।আবার বেদ ব্যাস দ্বারা মহাভারত সৃষ্টির সূচনাও হয়েছিলো এই তিথিতেই।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে অক্ষয় তৃতীয়া হল চান্দ্র
বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথি।শাস্ত্র মতে এদিনই দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব ঘটে।
নিয়ম অনুসারে কেদারবদ্রী-গঙ্গোত্রী-যমুনত্রীর মন্দির ছয়মাস বন্ধ থাকে। আর এইদিনেই মন্দিরের দ্বার উদঘাটন করা হয়। দ্বার খুললেই দেখা যায় সেই অক্ষয়দীপ যা ছয়মাস আগে জ্বালিয়ে আসা হয়েছিল ঠিক তেমনভাবেই জ্বলছে।এখানেও স্বার্থক এই তিথির নাম।
সত্যিই অক্ষয় শক্তি প্রদান করে এই তিথি।
অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না।
যা চিরকালীন এবং অন্তহীন।
সবাইকে জানাই অক্ষয় তৃতীয়ার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|ভালো থাকুন|সুস্থ থাকুন|
শুভ অক্ষয় তৃতীয়া।