নীল ষষ্ঠীর ও নীল পুজোর শুভেচ্ছা

105

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

তিথি অনুসারে আজ থেকেই শুরু নীল ষষ্ঠী।সন্তানদের মঙ্গল কামনার জন্য ব্রত ও উপবাস পালনের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় এই নীল ষষ্ঠী ।

প্রচলিত ব্রত কথা অনুসারে বহু কাল আগে এক ব্রাহ্মণ পরিবার বাস করত। কিন্তু তাঁদের কোনও সন্তান ছিল না। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই মারা যেত অথবা খুব বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারত না সেই সন্তান।এরপর নীল ষষ্ঠী পালন করে তাদের জীবন বদলে গেলো, সন্তান সুখ পেলেন তারা|এরপর প্রচারিত হলো নীল পুজোর মহিমা|নীল ষষ্ঠীর সঙ্গে এই দিক দিয়ে মা ষষ্ঠীর একটি সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।

আবার নীল ষষ্ঠীর পরের দিন চৈত্র সংক্রান্তি। এই দিনটি আবার নীল পূজোর দিন শাস্ত্র মতে এই বিশেষ দিনেই মহাদেবের সঙ্গে নীল চণ্ডিকা বা নীলাবতীর বিয়ে হয়েছিল। মহাদেব নিজে হলেন নীলকণ্ঠ। আর তাঁর সঙ্গে এদিন নীল চণ্ডিকা বা নীলাবতীর বিবাহ হয়েছিল বলেই এই দিনটি নীল পুজো বা নীল কণ্ঠ মহাদেবের পূজোর মাধ্যমে উদযাপন করা হয়।

গ্রাম বাংলার প্রচলিত রীতি অনুসারে নীলষষ্ঠীর সারাদিন উপবাস করেন মায়েরা। সন্ধেবেলা শিবের জলাভিষেকের রীতি প্রচলিত আছে। এর পর বেলপাতা, ফুল ও ফল অর্পণ করতে হয়। আকন্দ ও অপরাজিতার মালা পরিয়ে সন্তানের মঙ্গল কামনার জন্য মোমবাতি জ্বালতে হয়। পুজোর পর উপবাস ভঙ্গ করা হয়।
নীল ষষ্ঠী হোক বা তার পরের নীল পুজো দুটোই বিশেষ ভাবে কল্যাণকর। নীল ষষ্ঠী পালন করলে যেমন সন্তান সুখ বা সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যত অর্জন করা যায় তেমনই নীলকণ্ঠের পুজো দাম্পত্য জীবনকে সুখী করে। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে এই সময় প্রতিকার ধারনের জন্য বিশেষ ভাবে শুভ।

ভক্তি সহকারে নীল ষষ্ঠী পালন করুন, নীলকণ্ঠ মহাদেবকে নিজেদের মনোস্কামনা জানান|
ভালো থাকুন|সবাইকে নীলষষ্ঠীর এবং
নীল পূজোর  আগাম শুভেচ্ছা|হর হর মহাদেব।