সৌভাগ্যর দেবী লক্ষী

191

দেবী দুর্গার কৈলাশে প্রত্যাবর্তনের পর স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের সবার একটু মন খারাপ|কারণ আবার এক বছরের প্রতীক্ষা|তবে যদি একটু অন্যরকম ভাবে ভাবি দেখবো উৎসবের মরসুম সবে শুরু হলো|পর পর অনেক দেবীর পুজো এখন অপেক্ষা করে আছে যার মধ্যে অন্যতম অবশ্যই মা লক্ষীর পুজো যা বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত হয় নিষ্ঠা সহকারে|

পুরান অনুসারে সমুদ্র মন্থন থেকে লক্ষী দেবীর জন্ম|চন্ডিতেও দেবী লক্ষীর উল্লেখ আছে|আবার তিনি স্বয়ং বিষ্ণুর স্ত্রী|শ্রী বিষ্ণুর বিশ্বরূপ দর্শন করার পর লক্ষীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়েছিলো|আবার মহর্ষি ভৃগুকে লক্ষীর জনক হিসেবে দেখা হয়|এতো গেলো পৌরাণিক ব্যাখ্যা লৌকিক দেবী হিসেবে আজ কোজাগরী লক্ষী পুজোর  দিন তিনি বাংলার প্রতিটি ঘরে পূজিতা হন তার ব্রত কথা পড়া হয় সর্বত্র|

যুগ যুগ ধরে প্রচলিত বিশ্বাস মতে ওই দিন নিষ্ঠা সহকারে লক্ষী পুজো করলে ও রাত্রি জাগরণ করলে সৌভাগ্য লাভ হয় এবং মা লক্ষীর কৃপায় জীবনের সব দুক্ষ ও কষ্ট দূর হয়|এর কারন হলো দেবী লক্ষী মূলত ধন ও সৌভাগ্যের দেবী|তবে শুধু তাই নয় আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে দেবী লক্ষীর গুরুত্ব আরো বেশি|

মানুষের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি এই তিনটি বিষয় মা লক্ষীর কৃপা ছাড়া সম্ভব নয়|জ্যোতিষ  শাস্ত্র মতে ভাগ্য বিচার বা প্রতিকার ধারণের ক্ষেত্রে লক্ষী পুজো থেকে কালী পুজো অবধি এই সময় কে তাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলা যায় তাছাড়াও বাস্তু দোষ খণ্ডন বা গৃহের দৈনতা ও  অশান্তি কাটিয়ে উঠতে হলে এই শুভ সময়কে কাজে লাগানো যায়|সে ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে এবং কিভাবে এগোতে হবে তা জানতে অবশ্যই একজন জ্ঞানী ও বিচক্ষণ জ্যোতিষীর পরামর্শ নেয়া বাঞ্চনীয়|আমি আছি আপনাদের পাশে|প্রয়োজনে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|