জয় বজরংবলী

190

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

হনুমান জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানাই সবাইকে।
আজ বজরংবলীর জন্মদিন তিথি। তার আবির্ভাব আছে কিন্তু মৃত্যু নেই। তিনি অমর। তিনি চিরঞ্জিবী।

তুলসী দাস রচিত হনুমান চালিশায় বলা আছে ” অষ্ঠসিদ্ধি নবনিধি কে দাতা। অস বর দীন্হ জানকী মাতা”। অর্থাৎ তিনি অষ্ট সিদ্ধি এবং নব নিধির অধিকারী। এই অষ্ট সিদ্ধি বা আটটি বিদ্যা হলোযথাক্রমে – অনীমা, মহীমা, লঘিমা, গরিমা, প্রাপ্তি, প্রাকাম্য, ঈশিত্ব ও বশিত্ব।

এই আটটি গুনের অধিকারী হয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অসীম জ্ঞান ও শক্তির আধার এবং অপরাজেয়। তার বিরাট দেহ ধারন। সুক্ষ দেহে বিচরণ। আবার পাহাড় সম ভারী হয়ে ওঠা বা এক লাফে সুমুদ্র পেরিয়ে যাওয়া এবং পর্বত তুলে নিয়ে আসা সবই এই অষ্ট সিদ্ধির প্রয়োগের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।

আবার নব কথার অর্থ হল নয় এবং নিধি কথার অর্থ হল ধন অর্থাৎ সম্পত্তি।হনুমানজি নব নিধির অধিকারী এবং দাতা।নব নিধির মধ্যে পদ্ম নিধি,মহাপদ্ম নিধি  নীল নিধি মুকুন্দ নিধি বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য।এসবই অপার্থিব অতুল সম্পদ, যদি কেউ এই সম্পদের একটির ও অধিকারী হয় তার জীবন ধন্য।

জ্যোতিষ শাস্ত্রেও বজরংবলীর গুরুত্ব অপরিসীম।
স্বয়ং গ্রহরাজ শনিদেব হনুমানজি কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি তার ভক্ত দের কোনো ক্ষতি করবেন না। একবার নয় দুবার। প্রথমে যখন রাবনের কারাগার থেকে হনুমানজি তাকে উদ্ধার করেছিলেন লঙ্কা দহণের সময়ে। দ্বিতীয় বার যখন ধ্যানস্ত হনুমান কে যুদ্ধে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাবন
তার কাছে পরাজিত হয়েছিলো তখন।

আজ মন থেকে বজরংবলীকে ডাকুন। তার কাছে প্রার্থনা জনান। তার কৃপা লাভ করবেন।হুনুমান জয়ন্তীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জয় হনুমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here