মা অন্নপূর্ণা পুজোর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

148

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

দেবী অন্নপূর্ণা দেবী দুর্গারই একটি রূপ|
তবে তিনি দশ ভূজা নন।দেবী মূলত দ্বিভূজা তার বামহাতে সোনার অন্নপাত্র এবং ডান হাতে চামচ তিনি ক্ষুধার্ত মহাদেবকে অন্নদান করছেন|দেবীর মাথায় বিরাজিত অর্ধচন্দ্র|মনে করা হয় চৈত্র শুক্লাষ্টমীতিথি হলো দেবীর আবির্ভাব তিথি এই তিথি তেই মূলত তন্ত্র মতে দেবীর পুজো অনুষ্ঠিত হয় সর্বত্র|তিথি মেনে এক সারা দেশে অনুষ্ঠিত হবে দেবী অন্নপূর্ণার পুজো।

দেবীভাগবত পুরান অনুসারে দেবী অন্নপূর্ণার উৎপত্তি জড়িত কাশী প্রতিষ্ঠার সাথে|
পুরানে আছে একবার যোগিরাজ শিব ভিক্ষুক বেশে ভিক্ষা করতে করতে কাশী তে এলেন এবং ক্ষুদার্থ অবস্থায় অন্নপুর্ণার হাত থেকে অন্ন খেয়ে পরিতৃপ্ত হলেন|তারপর পরিতৃপ্ত শিব স্বয়ং নিজের উদ্যোগে কাশীতে অন্নপূর্ণা মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেন|চৈত্র শুক্লাষ্টমীতিথিতে কাশীতে শুরু হয় দেবী অন্নপূর্ণার পূজা|ক্রমেই অন্নপূর্ণার মাহাত্ম ও তার পূজা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র|আজ কাশীর অন্নপূর্ণা মন্দির জগৎ বিখ্যাত|

কাশীতে সৃষ্টি হলেও দেবী অন্নপূর্ণার সাথে বাংলার সম্পর্ক অতি প্রাচীন ও গভীর বিখ্যাত তন্ত্রসার গ্রন্থে অন্নপূর্ণা পুজোর বিশদ বিবরণ রয়েছে দেবীর মাহাত্ম্যগাথা নিয়ে পরবর্তীতে রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র রায় রচনা করেছিলেন তার বিখ্যাত অন্নদামঙ্গল গ্রন্থ|বাংলায় অন্নপুর্ণা শস্যদেবী|বহু প্রাচীন কাল থেকেই বাংলায় নবান্ন উৎসবের সময় এই অন্নপূর্ণার পুজো হয়ে আসছে|আজও গ্রাম বাংলায় প্রথা মেনে ফসল তোলার পরই দেবীর হাতে ধানের পাকা শিষের গুচ্ছো দিয়ে পুজো হয়|এই প্রথা কাশীতেও আছে|

তীর্থ ক্ষেত্র কাশি হোক বা বাংলা দেবী অন্নপূর্ণা অনেকটা দেবী দূর্গার মতোই ঘরের মেয়ে রূপে পূজিত হয়ে আসছেন বিশেষত বঙ্গ সমাজে|
দেবীর আশীর্বাদে অন্নর অভাব দূর হয়। সুখ
সমৃদ্ধি ও শান্তি লাভ হয় বলে বিশ্বাস।

আপনাদের সবাইকে অন্নপূর্ণা পুজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। মা অন্নপূর্ণা আপনাদের সহায় হোক।ধন্যবাদ|