সমস্যা সমাধানে তন্ত্রশাস্ত্র

132

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

যদিও তনু শব্দের উপর ভিত্তি করে তন্ত্র শব্দটি দাঁড়িয়ে আছে তবুও তন্ত্র শব্দের ব্যাবহারিক অর্থই হলো কৌশল বা পদ্ধতি, এমন এক গুপ্ত এবং গুরুমুখী পদ্ধতি  যার দ্বারা বিশেষ ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করা সম্ভব। সেই প্রভাব যেমন ভালো কাজে প্রয়োগ হয় আবার স্থান কাল পাত্র বিশেষে অশুভ উদ্দেশ্য নিয়েও ব্যবহৃত হয়। এই জটিল ও গোপন তত্ব  সাধারণ বোধ বুদ্ধি বিবেচনার ও অনুভবের উর্ধে।তাই বহু ভুল ভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

তন্ত্র শাস্ত্র যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে জন কল্যানে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে প্রতিকার হিসাবে তন্ত্র এক শক্তিশালী মাধ্যম। মন্ত্র হোক যন্ত্র হোক বা রত্ন কিম্বা রুদ্রাক্ষ সবই তন্ত্র শক্তির প্রয়োগের ফলে সর্বাধিক কার্যকরী হয়ে ওঠে। যা আমরা জ্যোতিষীরা নানাবিধ সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করে থাকি।

প্রাচীন কালের মুনি ঋষিরা কয়েক হাজার বছর দীর্ঘ আয়ু লাভ করতে সক্ষম ছিলেন। কেউ কেউ শূন্যে ভাসমান অবস্থায় থাকতে পারতেন। অনেকে আবার বীনা জল আহার গ্রহণ করে বহু দিন থাকতে সক্ষম ছিলেন। মনের কথা পড়ে ফেলা বা অদৃশ্য হওয়া বা এক সাথে দু জায়গায় অবস্থান করা এসবই তন্ত্র শাস্ত্র থেকে পাওয়া শক্তির ফলে সম্ভব হতো।

আজ যুগ পাল্টেছে। মানুষের চিন্তা ভাবনা পাল্টেছে। কিন্তু তন্ত্রের শক্তি একই আছে। এই বশীকরণ নিয়ে এতো সমালোচনা হয় তা একপ্রকার আধ্যাত্মিক বিদ্যা যার জন্ম হয়ে প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্র থেকে।

তন্ত্রের সাফল্য ও কার্যকারিতা নির্ভর করে সঠিক শাস্ত্র সম্মত জ্ঞান। প্রয়োগকারীর দক্ষতা এবং তিথি নির্বাচনের উপর। এমনই এক তিথি আগামী ২১ মার্চ অমাবস্যা তিথি। তার আগে অবস্থা আগামী কালই আমি থাকছি তারাপীঠে। প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।

তন্ত্রের বিভিন্ন খুঁটি নাটি নিয়ে লিখবো ধারাবাহিক ভাবে। সঙ্গে থাকুন। পড়তে থাকুন। জানাবেন আপনাদের প্রতিক্রিয়া। ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here