কথায় আছে যে ভক্ত শ্রদ্ধা-সহ সাইঁয়ের শরণে যায়, তাঁর সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়।শুধু কথার কথা নয় বহু সাঁই ভক্তের কথায় এই প্রবাদ অক্ষরে অক্ষরে সত্য। নিজে এই সত্যি উপলব্ধি করতে ও সাঁই ক্ষেত্র শিরডি দর্শন করার উদ্দেশ্য নিয়ে চলে এলাম শিরডিতে।
শিরডি তে পৌঁছেই পথের সব ক্লান্তি সব অভাব অভিযোগ দূর হয়ে মনে এক প্রশান্তি আসে। শুনে ছিলাম আগেই আজ বাস্তবে অনুভব করলাম।
প্রতিটি তীর্থ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা যেমন আপনাদের সাথে ভাগ করে নিই এবার ও তার ব্যাতিক্রম হবেনা।তবে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সাঁই মহিমাও জানা দরকার।
মহারাষ্ট্র্রের শিরডীতে সাইঁ বাবা জন্মগ্রহণ করেন।তার জন্মস্থান নিয়ে সামান্য বিতক থাকলেও তার লীলা ক্ষেত্রে মূলত শিরডি। যদিও পরবর্তীতে তার নাম প্রচারিত হয় সমগ্র মহারাষ্ট্রে এবং বর্তমানে সারা বিশ্ব তার চরণ বন্দনা করে। রয়েছে অসংখ্য ভক্ত যার মধ্যে আমিও একজন।
সাইঁ সাধারণত কোনও পুজো পদ্ধতি বা জীবন দর্শনের প্রচলন করেননি। এক ঈশ্বরবাদে তার আস্থা ছিলো। সহজ জীবন ও আধ্যাত্মিক চেতনা এই ছিলো তার মূল মন্ত্র।
শিরডির অন্যতম দর্শনীয় স্থান সাঁই সমাধি মন্দির।বলা হয় সাইঁ বাবার সমাধির সিঁড়িতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের সমস্ত দুঃখ দূর হয়ে যায়।
সাইঁ বাবা বলতেন তিনি শুধু শরীর নন, তিনি অজর-অমর অবিনাশী পরমাত্মা। এ কারণে তিনি সদা জীবিত থাকবেন।সেই সদাবিরাজমান অমর আত্মাকে আমার প্রণাম জানাই।
যারা আমার মাধ্যমে সাঁই মন্দিরে পুজো দিয়ে সাঁই কৃপা লাভ করে ধন্য হতে চান। তারা যোগাযোগ করতে পারেন।আপাতত কিছুদিনের জন্য থাকবো এখানে তারপর যাবো ত্রম্বোকেশ্বর। সেখানকার অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেবো যথা সময়ে। ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।