জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত
আজ ১৮ ই ফেব্রুয়ারী আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে আরম্ভ হবে শিব চতুর্দশী। কাল থাকছে অমাবস্যা। অর্থাৎ জ্যোতিষ ও তন্ত্র জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি। আসুন এই মহা শিবরাত্রির বিশেষ সময় জেনে নিই শিব রাত্রি ব্রত সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা|
শিবমহাপুরান থেকে জানা যায় বারাণসী তথা কাশীধামে এক নিষ্ঠুর ব্যাধ বাস করত। সে প্রচুর জীবহত্যা করত। একদিন শিকারে বেরিয়ে তার খুব দেরী হওয়ার ফলে সে জঙ্গলে পথ হারিয়ে রাতে হীংস্র জন্তুর ভয়ে এক গাছের উপর আশ্রয় নেয় । কোনো শিকার না পেয়ে সে হতাশ হয়ে গাছ থেকে একটা করে পাতা ছিঁড়ে নিচে ফেলতে থাকে ঘটনা চক্রে, সেই গাছটি ছিল বেলগাছ । আর সেই বেলগাছের নিচে একটি শিবলিঙ্গ ছিল এমনকি সেই রাত টাও ছিল শিবচতুর্দশী অর্থাৎ মহাশিবরাত্রি। আর ব্যাধও ছিল অনাহারে অর্থাৎ উপবাসী। তার ফেলা বেলপাতাগুলো শিবলিঙ্গের মাথায় পড়ে এর ফলে তার শিবচতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ হয় তার অজান্তেই।পরদিন ব্যাধ বাড়ী ফিরে এলে তার খাবার সে এক অতিথিকে দিয়ে দেয়। এতে তার ব্রতের সম্পূর্ণ ফল লাভ হয়।
এই ঘটনার কিছুদিন পরে সেই ব্যাধ মারা গেলে তার সারা জীবনের কর্মফল অনুসারে যমদূতরা তাকে নিতে আসে। কিন্তু অজান্তে করা শিবচতুর্দশী ব্রতের ফল লাভের জন্য শিবদূতরা এসে যুদ্ধ করে যমদূতদের হারিয়ে ব্যাধকে নিয়ে যায়।
যেখানে অজান্তে ব্রত পালন করায় শিব কৃপায় উদ্ধার হতে পারেন একজন সামান্য ব্যাধ সেখানে সঠিক ভাবে ভক্তি সহকারে শাস্ত্রীয় নিয়মমেনে আজ দেবাদিদেবকে ডাকলে তার পুজো করলে কি অদ্ভুত ফল পাওয়া যায় তা সহজেই অনুমেয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতেও বহু গ্রহ দোষ কেটে যায় এই ব্রত পালনে তাই জ্যোতিষ ও তন্ত্র মতে সমস্যা সমাধানের শ্রেষ্ট তিথি এই শিব রাত্রি।যারা অভিষিক্ত রুদ্রাক্ষ সংগ্রহ করতে চান বা নিজ গৃহ থেকে হোম যজ্ঞে অংশ নিতে চান যোগাযোগ করুন নির্দ্বিধায়|ভালো থাকুন|সুস্থ থাকুন।ওঁম নমঃ শিবায়ঃ|