হ্যাপি টেডি বিয়ার ডে

119

ঘটনার সূত্রপাত ১৯০২ সালের নভেম্বর মাসে,সেই সময়ে শিকার নিয়ে গোটা বিশ্বে কোনও কড়া আইন ছিল না। সামাজিক ভাবেও শিকার ছিল এক বীরত্ব প্রদর্শনেরই খেলা

মিসিসিপির জঙ্গলে ভল্লুক শিকার করতে বেরিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট, সারাদিন কেটে গেলেও তিনি সে দিন ভাল শিকার পাননি। ততক্ষণে অন্য শিকারিরা সকলেই অন্তত একটি করে ভল্লুক শিকার করে ফেলেছিলেন, এই অবস্থায় দিনের প্রায় শেষে প্রেসিডেন্টকে খুশি করতে তাঁর সঙ্গীরা ধরে আনেন এক কালো রঙের ছোট্ট ভল্লুক ছানাকে। তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রেসিডেন্টকে বলা হল, গুলি করতে,কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভল্লুকটিকে গুলি করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত অমানবিক একটা কাজ। এই কাজ তিনি করতে পারবেন না। ভল্লুকটিকে দেখে তার ভারী ভালো লেগেছে একপ্রকার মায়া পড়ে গেছে বলা যায়…

এই ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সংবাদ মাধ্যমে, প্রকাশিত হয় কার্টুন, সকলে এক বাক্যে প্রেসিডেন্ট এর এই মানবিক আচরনের প্রশংসা করেন..

পরবর্তীতে এই ঘটনা কে স্মরণীয় করে রাখতে আমেরিকার খেলনা কোম্পানি ‘আইডিয়াল নভেলটি অ্যান্ড টয় কোম্পানি’-এর মালিক মরিস মিকটম এবং তার স্ত্রী প্রথম তৈরি করেন খেলনা ভল্লুক। আর তার নাম দেওয়া হয় টেডি’স বিয়ার, প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট এর ডাকনাম ছিলো টেডি|সেই থেকে আজও ১০ ই ফেব্রুয়ারী পালন করা হয় টেডি বিয়ার ডে।

বর্তমান সময়ে এই দিন টিকে টেডি বিয়ার উপহার দেয়ার দিন হিসেবে দেখা হয়, এবং ভ্যালেন্টাইন্স ডের আগেই যেহেতু টেডি বিয়ার ডে তাই প্রেমের সাথে এই টেডি বিয়ার উপহার দেওয়ার ব্যাপারটাকে অনেকেই যুক্ত করে দেখেন|

সবাইকে আমার তরফ থেকে হ্যাপি টেডি বিয়ার ডে|ভালো থাকুন বন্যপ্রাণ কে ভালো বাসুন। ভালো থাকুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here