আজ বিজয়া দশমী, আবার একবছর আমাদের অপেক্ষা করতে হবে দেবী দূর্গার মর্তে আগমনের জন্যে|দশমী’ কথাটির সাধারন অর্থ খুবই সহজবোধ্য। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পিতৃ গৃহ ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে পাড়ি দেন দেবী। সেই কারণেই এই তিথিকে ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়।
শাস্ত্র মতে এদিন কয়েকটা নিয়ম পালন করলে জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে, অভাব-অনটন দূর হয়, সৌভাগ্যের দেখা মেলে|
মা দুর্গার বিসর্জনের পর একটি পাত্রে কিছুটা চন্দন, অল্প সিঁদুর, অল্প কর্পূর, একটি পান এবং অল্প গোরোচনা নিয়ে একসঙ্গে বেটে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তার পর ঘরের ভেতরে যে কোনও পবিত্র স্থানে সেই মিশ্রণের পাত্রটির সামনে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরের দিন সকাল থেকে পর পর সাতদিন সেই মিশ্রণটির টিকা কপালে পরুন।দশমীর সকালে দুর্গার চরণে সিঁদুর অর্পণ করার পর বাকি সিঁদুর চরণে ছুঁইয়ে বাড়ি নিয়ে আসুন, সারা বছর পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে ব্যবহার করুন।
দশমী পুজো হয়ে যাওয়ার পর মা দুর্গার ঘটের কাছ থেকে একটি পদ্মফুল নিয়ে এসে হলুদ কাপড়ে মুড়ে বাড়ির দক্ষিণ-পুর্ব কোণে ঝুলিয়ে দিন।দশমী পুজোতে যারা অঞ্জলি দেবেন তারা অঞ্জলি দেওয়ার সময় সাদা বা নীল অপরাজিতা ফুল নিবেদন করুন ভালো ফল পাবেন|আশা করি পুজো আপনাদের ভালো কেটেছে|সবাইকে জানাই বিজয়ার শুভেচ্ছা|ভালো থাকুন|নমস্কার|





