বাঙালির দুর্গোৎসব – এক বর্ণময় ইতিহাস

377

বিশেষ রচনা

যতই মত পার্থক্য থাক একথা সত্য যে জমিদার বাড়ি বা রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে দুর্গাপুজা ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে সারা বাংলায়,হয়ে ওঠে বাংলার প্রধান উৎসব। এখন তো দুর্গাপুজা এক আন্তর্জাতিক কার্নিভালের রুপ নিয়েছে। তবুও একথা এক বাক্যে স্বীকার করতে হয় এখনো বনেদিয়ানা বজায় রেখে নিষ্ঠা সহকারে শাস্ত্র মতে দুর্গা পুজা করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে বাংলার বনেদি জমিদার বাড়ি গুলি।

বাংলার বারোয়ারি দুর্গাপুজোর সূচনা নিয়েও একটি মজার গল্প আছে হুগলীর গুপ্তি পাড়ায় এক ধনী ব্যাক্তির বাড়ির দুর্গা পুজায় অংশ নিতে না পেরে বারো জন মানুষ রাগ করে সেখান থেকে বেড়িয়ে আসেন সে এবং নিজেরাই চাঁদা তুলে শুরু করেন দুর্গা পুজা । এই বারো জন বন্ধুর মাধ্যমে শুরু হয় বাংলার বারোয়ারী দুর্গা পুজা ।

পুরোনো দস্তাবেজ থেকে প্রাপ্ত একটি তথ্য অনুসারে 1910 সালে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস কোলকাতায় সার্বজনীন দুর্গা পুজা । আজ ধীরে ধীরে তা বাংলার শ্রেষ্ঠ ও বৃহত্তম উৎসবে পরিণত হয়েছে।ইতিহাস বলে নদিয়ার রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের বংশের হাত ধরে ১৯০৬ সালে প্রথম দুর্গা পুজা করেন । সে পুজা হয়েছিল রাজ বাড়ির অন্দরে সেখানে সাধারনের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ|এখনো আভিজাত্যে এবং ধারাবাহিকতায় নজর কারে শোভা বাজার রাজবাড়ির মতো বনেদি বাড়ির পুজা গুলি।

বাংলায় কবে ও কারা প্রথম দূর্গাপুজোর প্রচলন করেন তা নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। ইতিহাসের পাতা ঘেটে জানা যায় ১৫০০ সালে বাংলায় প্রথম দূর্গাপুজো হয়। দিনাজপুর ও মালদহের জমিদাররা প্রথম দূর্গাপুজোর শুরুর পরিকল্পনা নেন। কারও মতে, তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ণ প্রথম সাড়ম্বের দূর্গাপুজো শুরু করেন।এসব সাল তারিখের বিতর্ক ভুলে আসুন দুর্গাপূজা পালন করি শাস্ত্র মতে|আজ মহাষষ্ঠী এবং নবরাত্রি অনুসারে দেবী স্কন্দমাতার পূজা, আপনাদের সবাইকে ষষ্ঠীর শুভেচ্ছা|পুজোর ঠিক পরেই আসছি কলকাতা চেম্বারে, কালীঘাটে, সমস্যা নিয়ে দেখা করতে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here