জয় মা জগদ্ধাত্রী

386

জগদ্ধাত্রী পুজো আজ|যদিও জগদ্ধাত্রী পুজো চার দিনের তবে আজ নবমী তিথিতে অনুষ্টিত হবে প্রধান উপাচার|বারোয়ারি থেকে বনেদি বাড়ি সবস্থানেই আজ মায়ের আরাধনা হয় শাস্ত্র মতে| আসুন জেনে নিই এই দেবীর মহাত্ম ও তার পুজো করলে কি ফল পেতে পারেন তার বিস্তারিত বর্ণনা|

দেবী জগদ্ধাত্রী আসলে কোনও আলাদা দেবী নন, ইনি পরম ব্রহ্মের জাগতিক রূপমাত্র! একটু বিশদে বুঝিয়ে বলা যাক। মহিষাসুরকে দেবী দুর্গা বধ করার পর দেবতারা শান্তি পেয়ে ভেবেছিলেন এবার আর তাঁদের কোনও সমস্যা রইল না। তাই তাঁরা আবার পুরনো গর্বে অভিভূত অবতারে ফিরে গেলেন। মানে, তাঁরাই দণ্ডমুণ্ডের কর্তা, তাঁরা ছাড়া আর কারও কোনও শক্তিই নেই আর কী! এই দেখে ভারী খেপে যান ব্রহ্মা। তিনি যক্ষরূপ ধারণ করে চ্যালেঞ্জ করেন দেবতাদের।তিনি সৃষ্টি করেন দেবী জগদ্ধাত্রীর যিনি করিন্দ্রাসুর কে বধ করেন এই করিন্দ্রাসুর আসলে অহংকার ও দম্ভের প্রতিক|

জগদ্ধাত্রী দেবীর চার হাত, চার হাতে আছে শঙ্খ, চক্র, তির-ধনুক। দেবী বধ করছেন হস্তীরূপী করিন্দ্রাসুরকে, যা আগেই বলেছি আমাদের ভিতরে বসবাসকারী অহংয়ের মূর্ত রূপমাত্র। তাই মা আমাদের সকলের মধ্যেই থাকেন, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমায় তাঁকে পূজা করা হয়। দেবীকে নিয়ে একটিই মাত্র শ্লোকের উল্লেখ পাওয়া যায়, শ্রী ললিতা সহস্রনাম-এর ১৭৩তম শ্লোকে যেখানে দেবী ত্রিপুরাসুন্দরীকেই জগদ্ধাত্রী রূপে বর্ণনা করা হয়েছে।

শাস্ত্র মতে দেবী জগদ্ধাত্রীর  পুজো করলে অহংকার চলে যায়, আধ্যাত্মিক শাম্তি লাভ করা যায় এবং শত্রুতাকে পরাস্ত করে সুখ ও ঐশ্বর্য লাভ করা যায়|জগদ্ধাত্রী পূজোর দিন গৃহে শঙ্খ বাজিয়ে ও পঞ্চ প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীকে আহ্বান জানান|মনে মনে তাকে নিজের মনোস্কামনা জানান|দেবী আপনাদের মনোস্কামনা নিশ্চই
পূর্ন করবেন|সবাইকে জগদ্ধাত্রী পূজোর শুভেচ্ছা ভালো থাকুন|জয় মা জগদ্ধাত্রী|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here