শুভ ভাইফোঁটা

130


জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত
পুরান মতে আজকের দিনে যমুনা তার ভাই অর্থাৎ যম কে তিলক পরিয়ে তার সুরক্ষা ও মঙ্গল সুনিশ্চিত করে ছিলো আবার এদিন নরকাসুর কে বধ করে ফিরে এসে শ্রীকৃষ্ণ বোন সুভদ্রার হাত থেকে ফোঁটা নিয়েছিলো এমন তথ্যও পুরানে পাওয়া যায়|
ভাইফোঁটা মূলত ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বোনের মঙ্গল প্রার্থনার উৎসব এ আমরা সবাই জানি, তবে আরো বৃহত্তর আঙ্গিকেও এই উৎসবকে দেখা যেতে পারে|
ভাতৃদ্বিতীয়ায় এই যে চন্দনের ফোঁটা দেওয়া, সে আদতে সূর্যের রূপক। অবাঙালিরা যে রোলির তিলক আঁকেন, তার লাল রঙেও নিহিত রয়েছে সূর্যের তেজ। ধান-দূর্বা বা চালের অনুষঙ্গেও ফিরে আসছে সূর্যের দেওয়া জীবনের আশ্বাস।বিজ্ঞান বলছে, সূর্যকিরণে পরিপুষ্ট হয় শস্য, সেই শস্যে জীবনধারণ করে মানুষ। এভাবেই যম বা মৃত্যুকে ঠেকিয়ে রাখা হয়, আর সেই প্রতিরোধ কে চিহ্নিত করে এই উৎসব, কেন না, যে ঋতুতে এই উৎসব, সেই হেমন্তের পরেই আসবে প্রবল শীত।যা মানব জীবনের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং যেকোনো প্রতিকূলতাকে জয় করতে পারে শুভ শক্তি ও ঈশ্বরের আশীর্বাদ|
বাঙালির কাছে এই ভাইফোঁটা এক সুন্দর পারিবারিক মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে যেখানে খাওয়ার দাওয়া, আড্ডা, শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে অতিবাহিত হয় এই দিনটি|সব বোনেদের ও তাদের স্নেহের ভাইদের জানাই ভাইফোঁটার অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|ভালো থাকুন|নমস্কার জানিয়ে বিদায় নিলাম আজ|