সনাতন ধর্মের অজানা কথা – “ওঁম “

208

সনাতন ধর্মের পবিত্র প্রতীক গুলির অন্যতম “ওঁম”
বাস্তু শাস্ত্রে অশুভ শক্তিকে আটকাতে প্রধান দরজায় ওঁম লিখে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়|আবার মঙ্গল ঘট স্থাপনের পূর্বে তাতে স্বস্তিক ও ওঁম লেখার রীতি বহু প্রাচীন|আবার যেকোনো মন্ত্রের আগে এই ধ্বনি উচ্চারন করলে সেই মন্ত্রকে মহাজগতের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়।

ওম” শব্দটি তিন অক্ষরে তৈরী। “অ উ ম্।” “অ” এর অর্থ উৎপন্ন হওয়া, “উ” এর অর্থ উড়তে পারা বা বিকাশ, “ম” হলো মৌন হওয়া অর্থাৎ ব্রহ্মলীন হয়ে যাওয়া।

ওম প্রতীকতি সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় সংঘটনকারী ঈশ্বরের প্রতীক।”ওম” সম্পূর্ণ ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি একইসঙ্গে সৃষ্টির দ্যোতক। “ওম” এর উচ্চারণ শারীরিক লাভ প্রদান করে। এই ধ্বনি বিশ্বের আদি ধ্বনি বলে মনে করে হিন্দু সনাতন ধর্ম।

শাস্ত্র মতে যে কোনও মন্ত্র উচ্চারণের সময় ওঁম ধ্বনি অন্তর আত্মার সাথে পরমাত্মার যোগসূত্র স্থাপন করে|তাই হট যোগ থেকে যোগ আসন সব ক্ষেত্রেই যোগীরা ওঁম দিয়ে শুরু করেন|

হিন্দুশাস্ত্রে সর্বত্রই ওঁ-কারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। অথর্ববেদের গোপথব্রাহ্মণের একটি কাহিনি অনুসারে দেবরাজ ইন্দ্র ওঁ-কারের সহায়তায় দৈত্যদের পরাস্ত করেন। 

আরো অনেক জানা অজানা কথা নিয়ে লিখবো ধারাবাহিক ভাবে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|শারদউৎসব এর অনেক শুভেচ্ছা|নমস্কার এবং ভালোবাসা রইলো|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here