আমাদের সনাতন ধর্মের কিছু স্বল্প আলোচিত তবে বহু ব্যাবহিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি পর্বে পর্বে, আজ বট গাছ নিয়ে বলবো, বলা দরকার কারন আমাদের ধর্মের সাথে প্রকৃতির বিশেষ করে গাছের রয়েছে গভীর সম্পর্ক, তুলসী, রুদ্রাক্ষ বা কলা গাছ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়, আজ বট গাছ নিয়ে বলবো|
পুরাণ মতে এই গাছের কান্ডগুলিতে দেবতার আবাস। ধর্মগ্রন্থে অমরত্বের বৃক্ষ হিসাবে বর্ণিত বটবৃক্ষ এবং শস্য এবং অন্যান্য খাদ্য উদ্ভাবনের আগে মানবজাতিকে তার ‘দুধ’ দিয়ে পুষ্ট করেছিল তাই এই গাছ কখনও কাটা হয় না।
বট গাছ- ঐতিহ্যগতভাবে মন্দিরের সামনে রোপণ করা, হিন্দু ধর্মের প্রতীক এবং ঐশ্বরিক স্রষ্টা ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর কে উপস্থাপন করে বট গাছ|
বটগাছ বহু শতাব্দী ধরে টিকে থাকে, বহু শিকড় থেকে বেঁচে থাকার এবং বেড়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে, এটি বিশাল ছায়া ছড়িয়ে দেয় এবং পবিত্রতা দান করে, দেবতারা এবং ঋষিরা তাঁর ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেন|স্থায়ীত্ত, বিস্তৃতি ও পবিত্রতার প্রতীক বট গাছের পাতা ব্যাবহার হয় নানা উপাচার ও টোটকায়|বাস্তুতে বট পাতা রাখা শুভ হলেও দেয়ালের ফটলে বট গাছ অশুভ বলে স্বীকৃত|
সনাতন ধর্মের অন্যকোনো দিক নিয়ে আবার ফিরে আসবো আগামী পর্বে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|নমস্কার|