স্বস্তিক চিহ্ন রহস্য
আমাদের ভারতের শাস্ত্র বিশেষ করে পুরান, বেদ, ও মহাকাব্য গুলিতে বহু বিষয় ও তথ্য আছে যা হয়তো আমরা অনেকবার শুনেছি, দেখেছি পড়েছি, হয়তো বা ব্যাক্তিগত জীবনে তার সংস্পর্শেও এসেছি কিন্তু তলিয়ে ভাবিনি, যেমন স্বস্তিক চিহ্ন|সবেতেই ব্যবহার হয়, বাস্তু থেকে লকেট কিন্তু, কি এই স্বস্তিক চিহ্ন? আসুন আজ উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি|
খ্রিষ্টের জন্মের সাত হাজার বছর আগেরও এই চিহ্নের নিদর্শন পাওয়া গেছে।ইউক্রেনের কিয়েভের জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে হাতির দাঁত দিয়ে নির্মিত একটি পাখিমূর্তি যাতে পাওয়া যায় স্বস্তিক চিহ্ন যার বয়স অন্তত ১৫ হাজার বছর!
এই চিহ্ন সৃষ্টি এবং জীবনের প্রতীক, তাই সূর্য দেবতার সঙ্গে স্বস্তিকার একধরনের সম্পর্ক টানতে চেয়েছেন অনেকেই।সাধারণ অর্থে কল্যাণ বা মঙ্গল ময় কোনোকিছু বোঝাতে এই চিহ্ন ব্যাবহার হয়|
শুধু হিন্দু নয় বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের অনুসারীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে প্রতীকটি। সংস্কৃত শব্দ স্বস্তিকা থেকে উৎপত্তি এই নামের |এই চিহ্ন হিটলারের খুব প্ৰিয় ছিলো তাই তার দুর্ধর্ষ নাতসি বাহিনীর প্রতীক ছিলো এই চিহ্ন, শৌর্য ও বীর্য এবং পরাক্রম এর সমার্থক হয়ে উঠেছিল স্বস্তিকচিহ্ন|
ভারতীয় আধ্যাত্মিক জগতে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক এই চিহ্ন। মনে করা হয় অফুরন্ত শুভ শক্তির আধার এই স্বস্তিক চিহ্ন, হিন্দু শাস্ত্র মতে, প্রাচীণ এই চিহ্ন দরজায় বা বাড়ির মূল প্রবেশ দ্বারে থাকা শুভ।লকেট বা কবচ আকারেও ধারন করা যায়|
আবার লিখবো নতুন কোনো অজানা ও রহস্যময় বিষয় নিয়ে|পড়তে থাকুন|নমস্কার|