আজ বাইশে শ্রাবন|যিনি আজীবন শ্রাবনের ধারার মতো সিক্ত করছেন বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগৎ কে, যার সব থেকে প্ৰিয় ছিলো বর্ষা ঋতু তিনি বিদায় নিয়েছিলেন এই ভরা শ্রাবনেই|শিল্প সাহিত্য, রাজনীতি, নাটক, সংগীত, শিক্ষা এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে তিনি প্রবেশ করেননি|তবে আমার ব্যাক্তিগত ভাবে তার আধ্যাত্মিক চেতনা ও ঈশ্বর চিন্তা নিয়ে কৌতূহল বেশি|
নিজের আধ্যাত্মিক চেতনা সম্পর্কে কবি নিজেই বলেছেন ” আধ্যাত্মিকতা আমাদের আর কিছু দেয় না, আমাদের ঔদাসীন্য আমাদের অসাড়তা ঘুচিয়ে দেয়। অর্থাৎ তখনই আমরা চেতনার দ্বারা চেতনাকে, আত্মার দ্বারা আত্মাকে পাই। সেই রকম করে যখন পাই তখন আর আমাদের বুঝতে বাকি থাকে না যে সমস্তই তাঁর আনন্দরূপ “
রবীন্দ্রনাথ সন্ন্যাসী কিংবা সাধক ছিলেন না। তিনি সুফিধারার ফকির দের ন্যায় অধ্যাত্মসাধনায় নিমগ্নও হননি। তিনি ছিলেন কবি এবং তার আধ্যাত্মিক চেতনা তার কবিতা বিশেষ করে তার পূজা পর্যায়ের গানগুলির মধ্যে দিয়ে অতি সুন্দর ভাবে প্রকাশিত হয়েছে|
আমাদের রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এক ঈশ্বরবাদী এবং প্রকৃতির পূজারী যিনি মানব প্রেমকেই নিজের সাধনার প্রধান মাধ্যম বলে মনে করতেন|রবীন্দ্রনাথ উদার বিশ্বমানবিকতার কবি। বিশ্বমানব ও বিশ্বপ্রকৃতির প্রতি তাঁর অনুরাগ ছিল সংস্কারমুক্ত ও ভেদাভেদশূন্য।
আজ বাইশে শ্রাবন , গুরুদেবের প্রয়ান দিবস|আমাদের প্রাণের ঠাকুর রবি ঠাকুর কে আমার প্রনাম ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করলাম|