জ্যোতিষশাস্ত্র মতে রত্ন বা রুদ্রাক্ষ ধারন করার সঠিক নিয়ম

354

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বিভিন্ন প্রকার রত্ন বিভিন্ন গ্রহের রশ্মি অতিমাত্রায় আকর্ষণ করে ও তার ফলে ওই গ্রহ সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়|
আবার রুদ্রাক্ষ ও তার মধ্যে থাকা শক্তি আমাদের শরীর ও মনকে প্রভাবিত করে, শুভ শক্তির সঞ্চার করে ও গ্রহগত কু প্রভাবকে দূর করে|যন্ত্র ও সঠিক ভাবে স্থাপন করা হলে একই কাজ করে তবে রত্ন ও রুদ্রাক্ষ ধারন করার কিছু শাস্ত্রীয় নিয়ম আছে|

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে প্রতিকার শোধন করার প্রয়োজন হয় কারন শাস্ত্র প্রতিটি প্রতিকার কোনো না কোনো দেবতার অধীনে রয়েছে যেমন নীলা গ্রহ রাজ শনি গ্রহের পাথর তাই শনিদেবকে সন্তুষ্ট করতে ও তার কৃপা দৃষ্টি পেতে নীলা ধারন করতে হয়|শোধন অর্থাৎ বিশেষ পদ্ধতিতে পুজো পাঠের মাধ্যমে ওই প্রতিকার কে জাগ্রত করে তোলা|ঠিক যেমন মন্দির প্রতিষ্ঠার পর দেবতার মূর্তির প্রান প্রতিষ্ঠা হয় তার পরেই তার পুজো শুরু হয় ও তিনি ভক্তদের মনোস্কামনা শোনেন ও তা পূরণ করেন|

শোধন করার আরেকটি কারন আছে|যখন কোনো রত্ন খনি থেকে বা রুদ্রাক্ষ প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে উদ্ধার করা হয় বা কোনো যন্ত্র নির্মাণ করা হয় তখন তা ব্যবহার যোগ্য করে তলার আগে একটি পক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যায় যাতে ওই প্রতিকার অপবিত্র হওয়ার সম্ভবনা থাকে তাই ধারন করার আগে ওই প্রতিকারের পবিত্রতা ফিরিয়ে দেয়া হয় শোধন পক্রিয়ার মাধ্যমে|

আবার রত্ন সঠিক ধাতু ও সঠিক আঙুলে নিদ্দিষ্ট দিনে ধারন করলে তবেই ভালো ফল পাওয়া যায়|ঠিক একই রকম ভাবে রুদ্রাক্ষ শোধন করে নিয়ম মেনে ধারন করতে হয়|

আগামী দিনে কোনো প্রতিকার গ্রহন করলে জ্যোতিষ পরামর্শ মেনে এবং অবশ্যই শোধন পক্রিয়া অনুসরন করে ব্যাবহার করুন|ভালো থাকুন|নমস্কার|