আজ শ্রাবন মাসের তৃতীয় সোমবার|সকাল হতেই জল্পেশ মন্দিরে যাওয়ার পথে জলপাইগুড়ির একদল শিব ভক্তের মর্মান্তিক পরিণতি নিয়ে আমরা শোকস্তব্ধ হয়ে আছি|তবু জগৎ চলবে তার নিজের ছন্দে|আবার ও অসংখ্য শিব ভক্ত ছুটে যাবেন মহাদেবের কাছে এই শ্রাবন মাসে কারন
সনাতন ধর্মে সারা বছরের মধ্যে শ্রাবন মাস শিব কে উৎসর্গ করা হয়েছ|কিন্তু কেনো এই মাস এতো গুরুত্বপূর্ণ তা একটু জেনে নেয়া যাক|
শ্রাবন মাসে শিব বিশ্বকে রক্ষা করতে নীল কণ্ঠ হয়েছিলেন|শিব রাত্রি তিথিতে আবির্ভাব হয়েছিলো আদি শিব লিঙ্গের|শাস্ত্র মতে এই মাসে শিবকে সন্তুষ্ট করে তার কৃপা লাভ করতে পারলে জীবনের যেকনো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়|আর কিছু দিন পরই পালিত হবে শিব রাত্রি|
যারা গৃহ মন্দিরে নিয়মিত শিব পূজা করেন তারা সবার প্রথমে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র ধারন করতে হবে|পূর্ব দিকে মুখ করে বসতে হবে, সামনে থাকবে শিবলিঙ্গ।হাতে এক আঁজলা জল নিয়ে ব্রত উদযাপনের সঙ্কল্প করতে হবে।এর পর দুধ, দই, ঘি, মধু এবং গঙ্গাজলে শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে হবে।প্রতি অভিষেকের সময়ে জপ করতে হবে পঞ্চাক্ষরা মন্ত্র- ওম নমঃ শিবায়।অভিষেক শেষে শিবকে উপবীত, আতপ চাল, বিল্বপত্র, পুষ্পার্ঘ নিবেদন করতে হবে।সব শেষে দীপ এবং ধূপে আরতি করতে হবে|শ্রাবনের সোমবার সামর্থ্য থাকলে নির্জলা উপবাস করতে হয় সন্ধ্যা পর্যন্ত, অন্যথায় ফলভক্ষণ শাস্ত্রসম্মত।
যারা ভাগ্যবিচার করিয়ে প্রতিকার ধারন করতে চান তারা এই সময়কে কাজে লাগাতে পারেন|গৃহে পারদ, শিব লিঙ্গ, স্ফটিক শিব লিঙ্গ বা বানেশ্বর শিব লিঙ্গ স্থাপন করার এটা শ্রেষ্ঠ সময়ে,যারা রুদ্রাক্ষ ধারন করে গ্রহ গত সমস্যার সমাধান চান তারাও এই সময়কে কাজে লাগাতে পারেন|প্রয়োজনে উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগ করুন|ভালো থাকুন| নমস্কার|