চলছে অম্বুবাচী, সবার আগে আমাদের জানা উচিৎ কি এই শব্দের প্রকৃত অর্থ ‘অম্বুবাচী’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল ‘অম্বু’ বা জল ‘বাচি ‘অর্থাৎ সূচনা|এই সময় থেকে প্রকৃতির নব সৃষ্টি কার্যর সূচনা হয়|
হিন্দুধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ বাৎসরিক উৎসব অম্বুবাচী।বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় এই অম্বুবাচী, ‘অমাবতী’ বলেও পরিচিত। এই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শাস্ত্রের নানা কাহিনী। হিন্দু শাস্ত্রে ও বেদে পৃথিবীকে মা বলা হয়ে থাকে। এমনকি পৌরাণিক যুগেও পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলে সম্বোধন করা হয়েছে।মনে করা হয়, আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের চতুর্থ পদে ঋতুমতী হন ধরিত্রী। পূর্ণ বয়স্কা ঋতুমতী নারীরাই কেবল সন্তান ধারণে সক্ষম হন। তাই অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন।
অম্বুবাচীর সময় দেবী পূজা বন্ধ থাকলেও,বিভিন্ন তন্ত্রের আরাধনা করা হয়|অসমের কামাক্ষ্যায় বিশেষ পুজো পালিত হয় অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে। এই তিনদিন সময়ের মধ্যে কামাক্ষ্যা থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত দেবীস্থানে দরজা বন্ধ থাকে। স্পর্শ করার নিয়ম থাকে না দেবীকে। শাস্ত্র মতে, সতীর গর্ভ ও যোনি পড়েছিল কামাক্ষ্যায়। সেই সময় থেকে এই জায়গা পবিত্র সতীপীঠ।
অম্বুবাচীর সময় সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পর তুলসী তলায় অবশ্যই প্রদীপ জালাবেন। প্রদীপ দেওয়ার সময় ভুলেও তুলসী গাছকে স্পর্শ করবেন না, ঘরে কখনো অর্থের অভাব হয় না। এই টোটকা পালনে সহজেই ঘুচে যাবে আপনার অর্থাভাব।
অম্বুবাচী চলাকালীন বাড়ির ছাদে বা বাড়ির বারান্দায় প্রদীপ জ্বালাবেন। আপনার আসে পাশে যে সব খারাপ শক্তি থাকে সেই গুলি বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে না। এর ফলে আপনার উন্নতি হবে। আর বাইরের অশুভ শক্তির থেকেও আপনি নিজেকে ব্যাহত রাখতে পারবেন।
অম্বুবাচী তে রাতে অশ্বথ গাছের নীচে অবশ্যই একটি দেশী ঘি-এর প্রদীপ জালাবেন। এই দিন অশত্থ গাছের নীচে প্রদীপ জালালে জন্ম কুণ্ডলীতে থাকা সকল দোষ ধীরে ধীরে কেটে যায়। মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। দীর্ঘায়ু লাভ হয়।
অম্বুবাচী পরবর্তী মহা যোগে মা মুক্তেশ্বরীর মন্দিরে অম্বুবাচী উপলক্ষে এক মহা যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে|আপনারা চাইলে এই মহাযজ্ঞে নিজের বাড়িতে বসেই অংশগ্রহণ করতে পারেন|এই মহা যজ্ঞে শোধন করা বিশেষ রত্ন প্রতিকার ও রুদ্রাক্ষ ও অভিমন্ত্রিত কার্যসিদ্ধি কবচ আপনারা চাইলে সংগ্রহ করতে পারেন|যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|