কালকে যিনি হরন করেন তিনিই কালী আবার অন্য অর্থে কালের স্ত্রী লিঙ্গ হলেন কালী|দুটি অর্থেই কালী অন্তত ও অসীম শক্তির আধার তার অসাধ্য কিছুই নেই তার কৃপায় জীবনের সব কষ্টের নিবারন সম্ভব|
কিছু শাস্ত্র মতে কালী স্বয়ং ব্রহ্মশক্তি। মহাকাল শিব মায়ের পদতলে বিরাজ করেন। স্থিতি সৃষ্টি প্রলয়ের কর্ত্রী দেখতে গেলে কালীই।
মহাকালী একধারে ভয়ংকরী, অন্য দিকে অপার করুণাময়ী। মায়ের নানা রূপ। কোথাও তিনি নিত্যকালী, কোথাও মহাকালী, কোথাও ভদ্রকালী, কোথাও শ্যামাকালী, কোথাও আবার রক্ষাকালী, সিদ্ধেশ্বরী কালী, শ্মশানকালী বা রটন্তীকালী। তিনিই আবার এই ফলহারিণী কালী।ফল হারিণী অমাবস্যাযা আমরা মায়ের এই ফল হারিণী রূপেরই পুজো করি|
তন্ত্র সাধনায় এই তিথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন ওই তিথিতে ফলহারিণী কালীপুজো করলে পূজারীর ও ভক্তের কর্ম ও অর্থভাগ্যে উন্নতি ঘটে। সাংসারিক নানা বাধা দূর হয়। জীবনে সুখশান্তি লাভ হয়।যাদের জন্ম ছকে কোনো অশুভ যোগ রয়েছে বা কোনো গ্রহের অশুভ প্রভাব রয়েছে অথবা কোনো বিশেষ কার্য সম্পন্ন করতে চান তন্ত্রের মাধ্যমে তারা এই তিথিকে শাস্ত্র মতে ব্যাবহার করতে পারেন|
আসন্ন ফল হারিণী অমাবস্যাযা মা মুক্তেশ্বরীর মন্দিরে বিশেষ পুজো ও হোম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে নিজ গৃহ থেকেই আপনারা অংশ নিতে পারেন সেই আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ডে|ভালো থাকুন|নমস্কার|