তন্ত্র সাধনা ও বৈশাখী অমাবস্যা

297

শুক্লপক্ষ এবং কৃষ্ণপক্ষ এক মাসের দুটি অংশ রয়েছে। শুক্লপক্ষে চন্দ্রের শিল্পকলা বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ চন্দ্র বৃদ্ধি পায়। কৃষ্ণপক্ষের চন্দ্র বক্ররেখা এবং অমাবস্যায় সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যায়। চাঁদের ষোলটি কলার মধ্যে ষোড়শ শিল্পকে অমা বলা হয়। তাই এই তিথি অমাবস্যা নামে পরিচিত।

আগামী তেরোই এপ্রিল বৈশাখী অমাবস্যা|
তন্ত্র ও জ্যোতিষ চর্চার ক্ষেত্রে এই অমাবস্যা একটি বহু প্ তাৎপর্যপুর্ন সময়, যা নানা দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ, বহু ভাবে অমাবস্যার ব্যাখ্যা হয় শাস্ত্রে, শুধু হিন্দু শাস্ত্রে নয় বৌদ্ধ শাস্ত্রের কিছু গ্রন্থেও  অমাবস্যাকে অত্যান্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে| অমাবস্যার সাথে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত আমাদের বাংলার অন্যতম সিদ্ধ পীঠ ও তন্ত্র সাধনার প্রান কেন্দ্র তারাপীঠ|

অন্যঅন্য অমাবস্যার মতো বিশেষ এই তিথিতে প্রতি বছর,তারাপীঠে মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়, বহু তন্ত্র সাধক ও শক্তির উপাসকরা আসেন তারাপীঠে,চলে সারা রাত ব্যাপী হোম, যজ্ঞ ও বিশেষ পূজা এবং সব শেষে দ্বারকা নদীর পবিত্র জলে স্নান ও করেন অনেকে|

যেকোনো তন্ত্রের কাজ এবং শাস্ত্র মতে গ্রহ দোষ খণ্ডন এই সময়ে করলে তা অনেক বেশি সফল এবং কার্যকর হয়|শাস্ত্র মতে যেকোনো রকম প্রতিকার ধারণের জন্যে এই সময় শ্রেষ্ট সময়|

উল্লেখিত তারিখে আমি উপস্থিত থাকছি তারাপিঠে|হবে বিশেষ পুজো|হোম যজ্ঞ ও তন্ত্র মতে গ্রহের প্রতিকার|যেকোনো সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন|ভালো থাকুন|নমস্কার|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here