সনাতন ধর্মে সারা বছরের মধ্যে শ্রাবন ও চৈত্র এই দুই মাস শিব কে উৎসর্গ করা হয়েছে,শ্রাবন মাস নিয়ে যথা সময়ে লিখেছি আবার লিখবো আগামী দিনে, এখন চৈত্র মাসে কেনো এতো গুরুত্বপূর্ণ তা একটু জেনে নেয়া যাক,
শাস্ত্র মতে এই মাসে শিবকে সন্তুষ্ট করে তার কৃপা লাভ করতে পারলে জীবনের যেকনো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়|আর কিছু দিন পরই পালিত হবে নীল ষষ্ঠী যা আদতে শিব পুজো, এই পবিত্র মাসে জ্যোতিষ ও তন্ত্র মতে নেয়া যেকোনো প্রতিকার অনেক বেশি ও দ্রুত কাজ করে বলে বিশ্বাস করা হয়|
যারা গৃহ মন্দিরে নিয়মিত শিব পূজা করেন তারা সবার প্রথমে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র ধারন করতে হবে|পূর্ব দিকে মুখ করে বসতে হবে, সামনে থাকবে শিবলিঙ্গ।হাতে এক আঁজলা জল নিয়ে ব্রত উদযাপনের সঙ্কল্প করতে হবে।এর পর দুধ, দই, ঘি, মধু এবং গঙ্গাজলে শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে হবে।প্রতি অভিষেকের সময়ে জপ করতে হবে পঞ্চাক্ষরা মন্ত্র- ওম নমঃ শিবায়।অভিষেক শেষে শিবকে উপবীত, আতপ চাল, বিল্বপত্র, পুষ্পার্ঘ নিবেদন করতে হবে।সব শেষে দীপ এবং ধূপে আরতি করতে হবে|চৈত্র সংক্রান্তিতে শিবপূজার পর থেকেই শুরু হয় উপবাস। এক্ষেত্রে সামর্থ্য থাকলে নির্জলা উপবাস করতে হয় সন্ধ্যা পর্যন্ত, অন্যথায় ফলভক্ষণ শাস্ত্রসম্মত।চৈত্র মাসের যেকোনো সোমবার এই উপাচার পালন করলেও ভালো ফল পাবেন|
যারা ভাগ্যবিচার করিয়ে প্রতিকার ধারন করতে চান তারা এই সময়কে কাজে লাগাতে পারেন|গৃহে পারদ, শিব লিঙ্গ, স্ফটিক শিব লিঙ্গ বা বানেশ্বর শিব লিঙ্গ স্থাপন করার এটা শ্রেষ্ঠ সময়ে,যারা রুদ্রাক্ষ ধারন করে গ্রহ গত সমস্যার সমাধান চান তারাও এই সময়কে কাজে লাগাতে পারেন|প্রয়োজনে উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগ করুন|ভালো থাকুন| নমস্কার|