জ্যোতিষ শাস্ত্র ও উচ্চ শিক্ষা

385

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

আবার খুলে গেছে শিক্ষা ক্ষেত্র, আবার স্বাভাবিক নিয়মেই হবে পড়াশোনা পরীক্ষা এবং তার প্রস্তুতি, শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করে জন্ম ছকে গ্রহ নক্ষত্রর অবস্থানের উপর|আসুন আজকের পর্বে আলোচনা করি উচ্ছ শিক্ষা কাদের ভাগ্যে থাকে এবং শিক্ষায় বাঁধা কেনো আসে আর প্রতিকারই বা কি|

বিদ্যাভাব যদি খুব ভাল না হয়, তা হলে উচ্চশিক্ষা কখনওই সম্ভব নয়। চতুর্থ ভাবকে বিদ্যাভাব বলা হয়। চতুর্থ পতি যদি বলবান হয়ে কেন্দ্রে কোণে অবস্থান করে, শুভ গ্রহ যুক্ত বা দৃষ্ট হয় এবং চতুর্থ ভাবে যদি শুভ গ্রহের স্থিতি বা দৃষ্টি থাকে, তা হলে বিদ্যাস্থান শুভ বলা যায়। আর যদি গ্রহের স্থান উল্টো হয়, তবে বিদ্যাভাবের হানি হয়।

এর পরেও দ্বাদশ ও অষ্টম পতির বিচার। বিদ্যাকারক গ্রহ বুধ ও জ্ঞানের কারক বৃহস্পতির বিচার নিপুণ ভাবে করতে হবে। শনি ও চন্দ্রকে উপেক্ষা করা যাবে না।

সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য কিছু চিন্তা করতে হলে সেটা স্কুল লাইফ থেকে করা উচিত। প্রথম থেকেই বাবা–মাকে সন্তানের খেয়াল রাখতে হবে। জন্ম ছকে বুধ ও মঙ্গল যদি খারাপ থাকে, তা হলে ছাত্রছাত্রী অঙ্কে ভাল হতে পারে না।চন্দ্র খারাপ থাকলে মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে|

জন্ম ছকে পঞ্চম পতি, পঞ্চমভাব, রবি, বুধ, বৃহঃ গ্রহ জন্মকালীন অশুভ হলে সাধারণত জাতক জাতিকা বিদ্যা ও বুদ্ধিহীন হয়ে থাকে । এরকম জাতকের পড়াশুনা বেশি দূর এগোয় না তাঁর কারণ হলো জন্ম লগ্নের পঞ্চম ভাব ও পঞ্চমপতি বিদ্যা, বুদ্ধি ও প্রতিভার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। রবি গ্রহ মানুষের মস্তিষ্ক, বৃহঃ গ্রহ মানুষের ব্যবহারিক জ্ঞান, বুধ গ্রহ মানুষের স্মরণ শক্তি ও মেধা, এবং চন্দ্র গ্রহ মানুষের মনের একাগ্রতার প্রধান কারক গ্রহ। এই জন্য উপরোক্ত ভাব ও গ্রহ অশুভ মানুষের বিদ্যা শিক্ষা ততটুকু এগোয় না।

বিদ্যা কারক গ্রহ না ভাবের প্রতি অশুভ গ্রহের যোগ বা দৃষ্টি থাকলে অথবা বিদ্যা কারক গ্রহ সমূহ কোন অশুভ ভাবেরও যদি অধিপতি হয়ে থাকে তাহলেও মানুষের বিদ্যা শিক্ষা বেশি দূর এগোতে পারে না।

সমস্যা থাকলে সমাধান অবশ্যই থাকবেন|সঠিক জ্যোতিষ পরামর্শ ও প্রতিকারের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব|আপনার সন্তানের উচ্ছ শিক্ষা ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত নির্ভর করে তার ভাগ্য, পরিশ্রম ও  আপনার সঠিক সিদ্ধান্তর উপর প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন|ভালো থাকুন |নমস্কার|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here