জ্যোতিষ শাস্ত্র ও প্রতিকার – লাফিং বুদ্ধ

260

আজ যে প্রতিকারটির কথা বলবো তা সরাসরি বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে ব্যাবহার না হলেও পাশ্চাত্যে, চৈনিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে এবং বিশেষ করে বাস্তু শাস্ত্রে সফল ভাবে বহু যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে|

লাফিং বুদ্ধ মানে মোটেই ভগবানে বুদ্ধ নয়,লাফিং বুদ্ধ আসলে একজন বুদ্ধ সন্ন্যাসী বা বুদ্ধ ভিক্ষু তারআসল নাম ছিল বুদাই, হোতেই বা পু-তেই । আবার তাঁর বৌদ্ধ নাম ছিল কীয়েইচি|আনুমানিক এক হাজার বছর আগে চীনের চাচিয়াং নামক অঞ্চলে তিনি বাস করতেন|প্রাচীন কিংবদন্তী অনুসারে এই বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন বিশাল বপু, ও সদা হাস্যরত|যেকোনো প্রশ্নের উত্তরে তিনি কেবল হাসতেনে এবং অলৌকিক ক্ষমতা ছিলো তার|সদা হাস্য মুখের জন্য তিনি লাফিং বুদ্ধ নামেই পরিচিত হয়ে ওঠেন|

কিছু কিছু প্রাচীন গ্রন্থ ও লোক কাহিনীতে লাফিং বুদ্ধকে সৌভাগ্যের দেবতাও বলা হয়েছে|চীনের প্রাচীন বাস্তু শাস্ত্র বা ফেং শুই মতে গৃহে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাফিং বুদ্ধর মূর্তি রাখলে অর্থাৎ, যশ ও খ্যাতি বৃদ্ধি হয়|এই বিশ্বাস কে মান্যতা দিয়ে পৃথিবীর বহু দেশেই সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে লাফিং বুদ্ধ ব্যবহিত হয়|

সাজানো গোছানো অফিস বা সুন্দর পরিপাটি ড্রয়ইং রুম| একটা জিনিস প্রায়ই চোখে পড়ে তা হলো এক কোনে যত্ন করে রাখা একটি অদ্ভুত দর্শন হাস্যরত বুদ্ধ মূর্তি|অনেকেই যাকে লাফিং বুদ্ধ বলে চেনেন|বাস্তু শাস্ত্রে বিশেষত ফেং শুই এ এই লাফিং বুদ্ধের গুরুত্ব অপরিসীম|

তবে দোকান থেকে ইচ্ছে মতো হাস্যরত বুদ্ধ মূর্তি কিনে এনে সাজিয়ে রাখলেই সুফল পাওয়া যায় না বা তা প্রতিকার হয়ে ওঠেনা,বিভিন্ন রকমের লাফিং বুদ্ধ হয়  ও প্রতিটা মূর্তির আলাদা ব্যবহার ও তাৎপর্য আছে এবং এই লাফিং বুদ্ধ রাখার ও কিছু নিদ্দিষ্ট নিয়ম বা পদ্ধতি আছে|যদি সত্যি লাফিং বুদ্ধ মূর্তি ব্যবহার করে সৌভাগ্য বৃদ্ধি করতে হয় অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ বাস্তু বিশেষজ্ঞ বা ফেংশুই বিশেষজ্ঞর মতামত নেয়া বাঞ্চনীয়|উপযুক্ত লাফিং বুদ্ধ নির্বাচন এবং সঠিক ব্যাবহারের উপর নির্ভর করে সাফল্য|আরো বিশদে জানতে, সংগ্রহ করতে বা ব্যবহার করে সুফল পেতে যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here