আজ যে প্রতিকারটির কথা বলবো তা সরাসরি বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে ব্যাবহার না হলেও পাশ্চাত্যে, চৈনিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে এবং বিশেষ করে বাস্তু শাস্ত্রে সফল ভাবে বহু যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে|
লাফিং বুদ্ধ মানে মোটেই ভগবানে বুদ্ধ নয়,লাফিং বুদ্ধ আসলে একজন বুদ্ধ সন্ন্যাসী বা বুদ্ধ ভিক্ষু তারআসল নাম ছিল বুদাই, হোতেই বা পু-তেই । আবার তাঁর বৌদ্ধ নাম ছিল কীয়েইচি|আনুমানিক এক হাজার বছর আগে চীনের চাচিয়াং নামক অঞ্চলে তিনি বাস করতেন|প্রাচীন কিংবদন্তী অনুসারে এই বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন বিশাল বপু, ও সদা হাস্যরত|যেকোনো প্রশ্নের উত্তরে তিনি কেবল হাসতেনে এবং অলৌকিক ক্ষমতা ছিলো তার|সদা হাস্য মুখের জন্য তিনি লাফিং বুদ্ধ নামেই পরিচিত হয়ে ওঠেন|
কিছু কিছু প্রাচীন গ্রন্থ ও লোক কাহিনীতে লাফিং বুদ্ধকে সৌভাগ্যের দেবতাও বলা হয়েছে|চীনের প্রাচীন বাস্তু শাস্ত্র বা ফেং শুই মতে গৃহে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাফিং বুদ্ধর মূর্তি রাখলে অর্থাৎ, যশ ও খ্যাতি বৃদ্ধি হয়|এই বিশ্বাস কে মান্যতা দিয়ে পৃথিবীর বহু দেশেই সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে লাফিং বুদ্ধ ব্যবহিত হয়|
সাজানো গোছানো অফিস বা সুন্দর পরিপাটি ড্রয়ইং রুম| একটা জিনিস প্রায়ই চোখে পড়ে তা হলো এক কোনে যত্ন করে রাখা একটি অদ্ভুত দর্শন হাস্যরত বুদ্ধ মূর্তি|অনেকেই যাকে লাফিং বুদ্ধ বলে চেনেন|বাস্তু শাস্ত্রে বিশেষত ফেং শুই এ এই লাফিং বুদ্ধের গুরুত্ব অপরিসীম|
তবে দোকান থেকে ইচ্ছে মতো হাস্যরত বুদ্ধ মূর্তি কিনে এনে সাজিয়ে রাখলেই সুফল পাওয়া যায় না বা তা প্রতিকার হয়ে ওঠেনা,বিভিন্ন রকমের লাফিং বুদ্ধ হয় ও প্রতিটা মূর্তির আলাদা ব্যবহার ও তাৎপর্য আছে এবং এই লাফিং বুদ্ধ রাখার ও কিছু নিদ্দিষ্ট নিয়ম বা পদ্ধতি আছে|যদি সত্যি লাফিং বুদ্ধ মূর্তি ব্যবহার করে সৌভাগ্য বৃদ্ধি করতে হয় অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ বাস্তু বিশেষজ্ঞ বা ফেংশুই বিশেষজ্ঞর মতামত নেয়া বাঞ্চনীয়|উপযুক্ত লাফিং বুদ্ধ নির্বাচন এবং সঠিক ব্যাবহারের উপর নির্ভর করে সাফল্য|আরো বিশদে জানতে, সংগ্রহ করতে বা ব্যবহার করে সুফল পেতে যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|